বর্তমান প্রতিদিন ডেস্ক:
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে উঠল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। লক্ষ্যপূরণের মিশনে নেমে মেয়েরা মেলল উপভোগ্য ফুটবলের পসরা।
দুই দলই গোল উৎসব সেরেছিল তুর্কমেনিস্তানের জালে। তবে সিঙ্গাপুর গোল দিয়েছিল একটি বেশি। তাই গ্রুপ সেরা হতে এ ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না বাংলাদেশের সামনে।
সিঙ্গাপুরের জালান বেসার স্টেডিয়ামে রোববার ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদেরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে উঠল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ শুরুও করে দাপটের সঙ্গে। সিঙ্গাপুরের রক্ষণে চাপ দিতে থাকলে পূজা-প্রীতিদের ছোটাছুটি ছিল মূলত বক্সের আশ-পাশে। মাঝেমধ্যে সিঙ্গাপুর চেষ্টা করছিল উপরে উঠে খেলতে, কিন্তু তা ছিল না ভীতি ছড়ানোর মতো।
চাপ ধরে রাখার ফল ২২তম মিনিটে পেয়ে যায় বাংলাদেশ। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন প্রীতি। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষেও স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণের দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু একটি পোস্টের বাইরে এবং অন্যটি সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক বরাবর মেরে নষ্ট করে মেয়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। এবার নিখুঁত নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন প্রীতি। বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে গোলরক্ষক ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৬২তম মিনিটে সুলতানা আক্তার জালের দেখা পেলে বাছাইয়ের প্রথম ধাপ পেরুনোর পথটা বাংলাদেশের জন্য মসৃণ হয়ে যায় আরও।
তুর্কমেনিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে বাছাই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরও শুভসূচনা করেছিল তাদের ৭-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে। ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি দুই দলের জন্য হয়ে ওঠে ‘অলিখিত ফাইনাল’।
মন্তব্য করুন