বর্তমান প্রতিদিন ডেস্ক:
পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ ৪ বছর প্রবাসে কাটান ইকবাল হোসেন। তবে তাতে ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। পরে দেশে ফিরে পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে ২০২১ সালে মাত্র ২টি তিতির পাখি এবং ব্রাহামা মুরগির ডিম নিয়ে শুরু করেন খামার। বর্তমানে তার খামারে বড় তিতির পাখির সংখ্যা ২৫০টি এবং ব্রাহামা বড় মুরগির সংখ্যা ৩০টি। এদের থেকে প্রতিদিন ডিম সংগ্রহ করেন। তিতিরের ডিম, বাচ্চা এবং ব্রাহামা মুরগি বিক্রি করে তিনি এখন বেশ লাভবান। বড় তিতির পাখিগুলো ১ জোড়া বিক্রি করেন ২ হাজার ৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা দামে। তিতির পাখির ডিম ও ব্রাহামা মুরগির ডিম থেকে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করেন। তিনি একদিনের তিতির পাখির বাচ্চা প্রতি পিস ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে ও বীজ ডিম প্রতি পিস ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে এবং ব্রাহামা মুরগির একদিনের বাচ্চা প্রতি পিস ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তিতির পাখির ডিম, মাংস অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের বিদেশ ফেরত ইকবাল হোসেন দুই বছরে তিতির পাখি এবং ব্রাহামা মুরগী পালন করে সফলতা অর্জন করেন। তিতির পাখির রোগবালাই অনেক কম। খাবার হিসেবে চাল, সবুজ ঘাস, লতাপাতা খায়।
মন্তব্য করুন