আশা রহমান:
টাকা হলেই মিলছে বন্দি আসামীদের মেডিকেল কলেজ কারা ওয়ার্ডের সুবিধা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বন্দি ওয়ার্ডে টাকার বিনিময়ে কারাবিধি আইন লঙ্ঘন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের অধিনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় একটি কারাবন্দি ওয়ার্ড রয়েছে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা বন্দিরা অসুস্থ হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। মেডিকেল কলেজের কর্তবরত ডাক্তার বন্দিদের শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে এই ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। কিন্তু কারাগারের কর্তবরত দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোঃ সেলিম মিয়া প্রধান কারারক্ষী নং- ২১৩৬৬, লুৎফুর নাহার মহিলা কারারক্ষী নং- ২১৯০৯ প্রকাশ্যে এক মহিলা বন্দির আত্মীয়দেরকে ফোন করে এনে সাক্ষাৎ করাচ্ছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। বিষয়টি সিনিয়র জেল সুপার শাহাজান আহমেদ অবগত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক আইনগত ব্যবস্থা নেয় এবং ৭ দিনের জন্য কফিয়ত তলব করেন।
সূত্রে জানাযায়, অদৃশ্য সম্পর্কের কারণে সিনিয়র জেল সুপার শাহাজাহান আহমেদ এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারাবিধি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। সাধারণ ভাবে অভিযুক্তরা ৭ দিনের কফিয়ত তলব জবাব দেওয়ার পরও মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।
প্রমাণ পাওয়ার পরও এই পরিপেক্ষিতে ওই দুই ব্যক্তির ৭ দিন জবাবের বিষয়টি সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
মন্তব্য করুন