বর্তমান প্রতিদিন ডেস্ক:
শুধু মাছই নয়, মাছের ডিমও খুব উপকারী। মাছের ডিম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। মাছের ডিম থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে।
আজ জানবো মাছের ডিমের উপকারিতা সর্ম্পকে-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
অসুখ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা খুবই জরুরি। যেকোনো ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা সহজ হয়। মাছের ডিম এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে। নিয়মিত মাছের ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
চোখ ভালো রাখে:
বর্তমানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঘরে ঘরে। সেজন্য খুব কম বয়সেই চোখে চশমা দরকার হয় অনেকের। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাছের ডিম। কারণ মাছের ডিমে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, এটি চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এতে থাকে ডিএইচএ ও ইপিএ যা শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়ানো ও রেটিনাকে আরও বেশি কার্যকরী করে তুলতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
মাছের ডিম আমাদের মস্তিস্থের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষকরা বলেছেন, এতে থাকা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এই কাজে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক ভালো রাখার পাশাপাশি রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমাতে কাজ করে মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
রক্ত পরিষ্কার করে:
মাছের ডিম রক্তের দূষিত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে ও হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যে কারণে অ্যানিমিয়ার ভয় কমে। রক্ত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
হৃদরোগে খুব উপকারী:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে। এই দুই উপাদান আছে মাছের ডিমে। হৃদরোগীদের জন্য মাছের ডিম বেশ উপকারী। মাছের ডিম নিয়মিত খেলে তা হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
দাঁত ও হাড় ভালো রাখে:
আমাদের দাঁত ও হাড় ভালো রাখার জন্য কার্যকরী উপাদান হলো ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন মাছের ডিমে পাওয়া যাবে। নিয়মিত মাছের ডিম খেলে তা দাঁত ভালো রাখে ও হাড় শক্ত করে।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়:
সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরি। মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং সেই সাথে প্রদাহও কমায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
মন্তব্য করুন