ছয় এসএসসি পরীক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ শিক্ষকের ভুলে
৯ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছয় এসএসসি পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষা দিতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই কলেজের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিতে না পারায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিননি। পরে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে পরীক্ষার্থীরা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। দুপুরে শিক্ষার্থী অর্পিতার বাবা গৌরাঙ্গ একটি অভিযোগপত্র নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের কাছে দেন
শিক্ষার্থীরা হলো— চাঁদনী আক্তার, অর্পিতা সুত্রধর, জান্নাতুল ফেদৌস, মেঘলা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার জয়া এবং তৈয়বা আক্তার। এদের মধ্যে তৈয়বা আক্তর নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বাকি ৫জন ব্রাহ্মন্দী গালস হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলো।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, তার নিজ নিজ স্কুল থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। পরে তারা নরসিংদী ডিজিটাল গালর্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সকল ব্যবস্থা করে দেবেন বলে অঙ্গীকার করে আমিনুল ইসলাম জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা করে নেন। প্রত্যেকেই ১৫ হাজার টাকা করে দেনও। কিন্তু পরীক্ষার দিন তাদের প্রবেশপত্র দিতে পারেননি ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী অর্পিতা সুত্রধরের মা বলেন, আমরা গতকাল রাত পর্যন্ত স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার কথামত টাকা ও পাঠিয়েছি। তিনি আমাদের সকালে কেন্দ্রের সামনে থাকতে বলেছেন প্রবেশপত্র দিবেন। কিন্তু সকালে ওনার মোবাইল বন্ধ, কোনো খোঁজ নাই। আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারলো না। আমরা শিক্ষকের বিচার চাই।
এদিকে দুপুরে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার মালাকার মোড়ের নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রতিটি কক্ষ তালা। জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে স্কুলটির কোনো নিবন্ধন নেই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় না বসিয়ে ওদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আমরা অতি দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রতারক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।