মেলায় ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়
২১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিন। ছুটির দিন অবসরে মেলায় ভিড় জমিয়েছেন পাঠকেরা।কেউ কেউ স্টল ঘুরে দেখছেন বই। কেউবা তুলছেন ছবি।
(০২ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার পাঠকদের সরগরমে জমজমাট হয়ে উঠে ছিল বইমেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার বিভিন্ন স্টলের সামনে পাঠকেরা বই দেখছেন। নারীদের অনেকেই মাথায় জড়িয়েছেন ফুল। মেলা উপলক্ষে সবার মধ্যে যেন উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। পাঠকদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরাও। পছন্দসই বই খুঁজে পাঠকের সামনে হাজির করছেন। ছুটির দিনে মেলায় লেখকদের উপস্থিতিও রয়েছে। প্রথমা প্রকাশনীতে পাঠকদের সঙ্গে কথা বলছেন লেখক আনিসুল হক।
রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে বইমেলায় এসেছেন নাফিস মুবারাত। তিনি জানান, বইমেলায় এবার আমেজপূর্ণ হবে। শুক্রবার দেখে মেলা দেখতে এসেছি। অনেক স্টলে কাজ পরিপূর্ণ শেষ হয়নি। তবুও ভালো লাগছে।
মিরপুর থেকে আসা স্মৃতি আক্তার জানান, নতুন বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। অনেক পছন্দের লেখক আসেন। তাদের সঙ্গে দেখা হয়, কথা বলি। বইমেলায় মাঝে মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করে।
পাঠকের উপস্থিতি বাড়লেও আশানুরূপ বইয়ের বিক্রি নেই বলছেন বিক্রয়কর্মীরা। তারা বলছেন, পাঠক বই উল্টেপাল্টে দেখলেও কিনছে কম। অনেকেই বইয়ের সঙ্গে শুধু ছবি তুলছেন।
বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ধৃতি রাণী বলেন, ছুটির দিনে বরাবরই পাঠকের সমাবেশ হয়। গতবারও আমি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। এ বছর দর্শনার্থী বেশি। তবে শুরুর দিকে হওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে।
শোভা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী শান্তা আক্তার বলেন, মানুষ এখন সেভাবে বই পড়ে না। পাতা উল্টে চলে যায়। আমাদের প্রকাশনীতে অনেক চমৎকার বই আছে। তবে যারা কেনার তারা তো কিনবেই।
এবারের বইমেলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা। বায়ান্ন (৫২) প্রকাশনীর সম্পাদক ও সত্ত্বাধিকারী নূরে আলম সরকার বলেন, এবারের বইমেলা অন্যবারের তুলনায় গোছানো। পাশাপাশি মেট্রোরেল রয়েছে। আশা করছি অন্য যেকোনো বারের তুলনায় এবার পাঠকের সংখ্যা বেশি হবে।