স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরের কাছে ফোন, লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন স্বামী
১ ঘন্টা আগে শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি ফোন করে নিহত নারীর বাবাকে মরদেহ নিয়ে যেতে বলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম নাদিরা আক্তার (২৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের মেয়ে।স্থানীয় সূত্র জানায়, নাদিরা আক্তার ভাড়া বাসায় থেকে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী আমিনুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার বাসিন্দা এবং তিনিও একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। আমিনুল ইসলামের বাবার নাম মো. ফখরুদ্দিন।নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তার জামাই ফোন করে বলেন যে তিনি তার মেয়েকে হত্যা করেছেন এবং লাশ নিয়ে যেতে বলেন। এরপর ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।নিহতের ছোট ভাই রাজিব মিয়া জানান, তিনি ও তার বোন একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, তবে ভিন্ন তলায়। সকালে কাজে যাওয়ার সময় তিনি বোনের কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে বাবার ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়িতে ফিরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বোনের মরদেহ দেখতে পান।রাজিব আরও দাবি করেন, বিয়ের পর তারা জানতে পারেন যে আমিনুল ইসলামের আগেও একটি বিয়ে ছিল এবং সেই স্ত্রী হত্যার ঘটনায় তিনি কারাভোগ করেছিলেন।বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি শ্রীপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। দম্পতিটি প্রায় ছয় বছর ধরে তার বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছিলেন।মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।