কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪
২৫ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
গাজীপুরের
কালিয়াকৈরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে নিহতের
২ ভাই ও ২ ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
মঙ্গলবার
সকালে র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার
মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
জানা
যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা
এলাকার কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে (৫৩) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত মামুন কালিয়াকৈরের
সাজনধারা গ্রামের এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত ব্যক্তি কালিয়াকৈরের চন্দ্রা
এলাকায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামিরা হলো: হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহতের ছোট ভাই মো: মজিবর রহমান (৫০), তার
ছেলে মো: সুমন (২৮) ও মো: সিজান (২০) এবং নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৬৫)।
মেজর
মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে নিহত কলেজ শিক্ষকের মধ্যে দীর্ঘদিন
ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল সোয়া
৩ টার দিকে আসামিরা কালিয়াকৈরের সাজনধারা এলাকায় তাদের চাষকৃত ধানী জমিতে আগাছা পরিষ্কার
করা জন্য পৌঁছালে তার কিছুক্ষণ পর কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনও তার চাষকৃত ধানী
জমিতে যান। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিরা কাঠের লাঠি, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সজোরে আঘাত করে
মামুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে আসামিরা নিহতের
বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করাসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি নিহতের
স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা
দায়ের করেন। হত্যা মামলার হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ আলিকে (৬৫)
হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। পরে তাকে থানা পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জানুয়ারি ভোররাতে র্যাব-১ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে
ও গোপন সূত্রে জানতে পারে, মামলার আসামি মো: মজিবুরসহ অন্য আসামিরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের
কোনাবাড়ি থানার জয়েরটেক এলাকায় আত্মগোপনে আছে। র্যাব এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদের
গ্রেফতার করেন।