কুমিল্লায় ৪৬৯ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি সংবর্ধনা ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান
৬ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
মাদক ইভটিজিং ও অনৈতিক কাজ থেকে দুরে রেখে
শিক্ষায় উৎসাহিত করতে কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৬৯ শিক্ষার্থীকে
শিক্ষাবৃত্তি, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ
উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সুয়াগঞ্জ টি এ হাই স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজন করে আবদুর রহমান
মাস্টার ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা
জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। প্রধান আলোচক ছিলেন আবদুর রহমান মাস্টার ফাউন্ডেশনের
সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।
সুয়াগঞ্জ টি এ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), মোঃ মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ
আলমগীর ভূঞা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আবুল বাসার শিপন।
সদর দক্ষিন উপজেলার আব্দুর রহমান মাষ্টার
ফাউন্ডেশন একটি শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং সামজিক উন্নয়নের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ ফাউন্ডেশনের
মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা
প্রদানসহ অসহায়দের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছে এ ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ফাউন্ডেশনের সভাপতি
ও এনট্রাস্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন
বলেন, আমাদের সন্তানদের শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার জন্য বড় করি। কিন্তু এটা
হওয়া উচিৎ নয়। যদি বাবা-মা চায় সন্তান বড় হয়ে ভালো হবে, ভদ্র হবে, ন্যায়নিষ্ঠাবান ও
সৎ পথে থাকবে। তাহলে আমাদের সমাজ হবে আয়নার মতো সুন্দর।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লার পুলিশ
সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের বড় অংশ বর্ডার বেষ্টিত। তাই এই অঞ্চলে
বেশি পরিমাণ মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। সদর দক্ষিণেও আছে গুটি কয়েক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীদের স্থানীয়রা চেনে। আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ করতে না পারলে আমরা
অন্যভাবে করবো। তাদের ভোট দেবো না, দেখা হলে সালাম দেবো না, কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেবোনা,
ওয়াজ মাহফিলসহ ধর্মীয় বা কোন অনুষ্ঠানে অতিথি করবো না। তাহলে তারা আর কোন উপায় না পেয়ে
লজ্জায় পড়ে হলেও মাদক ব্যবসা ছাড়বে। আর আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের
সামাজিকভাবে ভয়কট করতে হবে।