কুমিল্লা সিটি ভোটে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ
৬ দিন আগে মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫

আসন্ন
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র
উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটি সে অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাও নিতে বলেছে।
ইসির
নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব এম মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্প্রতি
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে
বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯ এর উপধারা (২)(ঘ) ও (২)(ঙ)
এর বিধান হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মেয়র
বা কাউন্সিলর পদে থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি- (ঘ) কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত
অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের
পর ৫ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে; (ঙ) প্রজাতন্ত্রের বা সিটি কর্পোরেশনের বা কোনো
সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে
সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন।
নির্দেশনায়
আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে
অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল
হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করলে অযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট
প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলেও তিনি অযোগ্য
হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলেও অযোগ্য হবেন অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থগিত
বা মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
অন্যদিকে
সিটি কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
পদটি রিট পিটিশন ৯১২৪/২০০৮ এ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক লাভজনক পদ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কাজেই স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ এর উপধারা (২)(ঙ) অনুযায়ী
মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে
অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে
ইচ্ছুক হলে তাকে উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। কাউন্সিলর পদধারীগণ লাভজনক
পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত নন বিধায় তাদেরকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে
আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২ সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি,
মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের
শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ সকাল ৮ টা
থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
