খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি
৪৭ মিনিট আগে বুধবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত (বিজিবি) কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ০২ প্লাটুন (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ০১ প্লাটুন হাসপাতালের গেটে দায়িত্ব পালন করছে। আরেক প্লাটুন টহলে রয়েছে।’
গত সোমবার রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা ও দলীয় নেতা–কর্মীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ব্যারিকেড বসায়। তারপরও আজ (০৩ ডিসেম্বর) বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে নানা এলাকা থেকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এসে জড়ো হয়েছেন। ব্যারিকেডের বাইরে নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করছেন তারা। হাসপাতালের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকে বলেন, ভিড় এড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু তাদের মন সায় দেয়নি। উদ্বেগ আর টানাপোড়েন সামলে তারা ছুটে এসেছেন হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন তার অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে ০২ দিন আগে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ০২ মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ০২ বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ০৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।