নারীদের কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী করতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা
৩ দিন আগে মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত
বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ
করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন
করতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা- এ কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই
হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে
আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক
নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর
উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়:‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার
উন্নয়ন’। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণ-অভ্যুত্থান
সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন
ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে
শাহাদত বরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি
এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা
এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায়
নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে
‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান
সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে
ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি
দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে।
