পাইলট-কেবিন ক্রুদের রোজা না রাখার পরামর্শ পাকিস্তানে
১২ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) এর পাইলট ও ক্রুদের পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এয়ারলাইন্সটির কেবিন ক্রু সদস্যদের কাছে একটি সার্কুলারও পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান। রোজা ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে অন্যতম। সারা বিশ্বের মুসলিমরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সিয়াম সাধনা করে থাকেন। তবে পাকিস্তানি ক্রুদের সেই রোজা রাখা থেকে বিরত থাকার কথা বলায় সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএ পাইলট এবং কেবিন ক্রু সদস্যদের রমজান মাসজুড়ে ভ্রমণ এবং ফ্লাইট চলাকালীন রোজা থেকে বিরত থাকার নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোজা না রাখার নির্দেশিকাটি পিআইএর ফ্লাইট সুরক্ষা বিভাগের ম্যানেজারের কাছ থেকে এসেছে। তিনি এয়ালাইন্সের সকল কেবিন ক্রু সদস্যের কাছে একটি সার্কুলারও পাঠিয়েছেন। সেখানে ফ্লাইট চলাকালীন রোজা রাখার নির্দেশিকাগুলোর রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় রোজা রাখা সম্ভব। তবে এটি ঝুঁকির কারণ হবে পারে। কারণ এটি করপোরেট নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং এয়ারক্রু মেডিকেল সেন্টারের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তার পরিধি কমিয়ে দিতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, রোজা সম্ভাব্যভাবে সতর্কতা হ্রাস করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে। আর এটি জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, চিঠিতে রোজার শারীরিক প্রভাবের কারণে জরুরি পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি রোজার প্রভাবের কারণে কোনো জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া বিলম্বিত হয় বা ভুলভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে পরিণতি গুরুতর হতে পারে।
নির্দেশনায় শুধু ককপিট এবং কেবিন ক্রু সদস্যদের জন্যই নয়, যাত্রী এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের দায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিউটিতে থাকাকালীন রোজা রাখা কেবল তাদের নিজের নিরাপত্তার জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে।