ফরিদপুরে খন্দকার নাসিরের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়
১৮ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
মুকুল বসু, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেছেন, 'আজ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি, মিটিং করতে পারছি শুধুমাত্র আমাদের দেশের ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকার কারণে। তপ্ত বুলেটের সামনে তারা যেভাবে বুক চিতিয়ে দিয়েছে তার কাছে স্বৈরাচার হাসিনা হার মেনেছে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।'
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজারে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, 'আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন কোথাও কোন লেবেলে কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করা যাবে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি এগুলো যারা করতে গিয়েছে, দলের নজরে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছে। ৫ আগস্টের আগে বিএনপি করার জন্য হাতে ধরে, পায়ে ধরে মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি, আজকে বিএনপি করার জন্য লোকের কোন অভাব নেই। আমাদের দলের স্পষ্ট নির্দেশ আছে আওয়ামী লীগের যারা কুখ্যাত সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী, জুলুমবাজ, তাদের দলে নেওয়াতো দূরের কথা, তাদের সাথে কথাটি পর্যন্ত বলা যাবে না। এটাকে উপেক্ষা করে এই দলের ভেতর নানাভাবে চক্রান্ত চলছে, সেই দলীয় চক্রান্ত আমরা দলীয়ভাবে মোকাবেলা করব। আপনারা দেখেছেন, যারা কোনদিন দল করে নাই, অতি সম্প্রতি আবু জাফরের বিএনএমের পক্ষে নির্বাচন করায় দল থেকে থেকে বহিস্কৃত হয়েছে সেসব বহিষ্কৃত লোকেরা এবং আওয়ামী লীগের পদধারী নয় কিন্তু সমর্থক এমন, বিশেষ করে বোয়ালমারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সভাপতির সমর্থকরা, বিএনএম মিলে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। দুই দিন আগে একটা মিছিল হয়েছে, আমাদের কাছে ছবি আছে, ছবিতে দেখেছি ওই বিএনএম এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত লোকেরা মিছিলে আছে। আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। দলীয় হাই কমান্ডও অবগত আছে।'
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম আরো বলেন, 'আমি ১৩৭টি মামলার আসামী। বিএনপি করার কারণে আমার মাকে মারা হয়েছে, আমার বাড়িঘর লুট করা হয়েছে। আমি বিএনপির কোন বড় নেতা নই, কিন্তু বিএনপির পরীক্ষিত কর্মী।
খন্দকার নাসির মতবিনিময়ের এক পর্যায়ে বলেন, 'পুলিশ এবং শিক্ষকদের বেতন বাড়ায় দিতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ বেতন দিতে হবে।'
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল শুকুর শেখ, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি খান আতাউর রহমান, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহা, যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রশীদ হেলাল, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম তুহিন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।