বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চাইলেন কৃষি উপদেষ্টা
২০ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হয়। সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত এ মুহূর্তে উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা এসময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কৃষি ক্ষেত্রে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের কৃষকগণ এখনো এ বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। ভবিষ্যতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছ। যে কারণ বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন
সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত
ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।