মাদক মামলায় লক্ষ্মীপুরে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
২০ দিন আগে বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে
মাদক মামলায় হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝি (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা
জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়েছে।
(২১
নভেম্বর) মঙ্গলবার বেলা
সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ
আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা
জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বাহাদুর
৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ র্যাবের হাতে
আটক হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে।
বাহাদুর
মাঝি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ভোরে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১
এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজীবের বাড়ি থেকে ৮৫ হাজার ২০টি
ইয়াবা উদ্ধার করে। ওই সময় মনির,
গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা
আমির হোসেনকে আটক করা হয়।
পরদিন
পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত চারজনকে
আসামি করে র্যাব-১১
এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বাহাদুর
মাঝি ও আব্দুর রহমান
নামে দুজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি দিনগত
রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ
বাহাদুর মাঝিকে ধরে র্যাব।
টেকনাফ
সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারে করে ইয়াবাগুলো বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল বলে জানায় র্যাব। এ
ঘটনায় পরদিন র্যাব-১১
এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা একটি মামলা করেন।
পরের
এ মাদক মামলাটি তদন্ত করে বাহাদুর মাঝিকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি আদালতে
তদন্ত প্রতিবেদন দেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা লিটন চন্দ্র দত্ত। সাক্ষ্য
প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন
আদালত।
প্রথম
মামলায় চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের
সদস্য (মেম্বার) মনির হোসেন সজীব, একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য (চৌকিদার) মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগের সদস্য
আমির হোসেন কারাগারে রয়েছেন।