মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় সেই গৃহকর্মী আয়েশা ৬ দিনের রিমান্ডে
৩ ঘন্টা আগে বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায়
করা মামলায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার ছয় দিন ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারের তিন দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
তাদেরকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে
রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
সহিদুল ওসমান মাসুম।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী
পাবলিক প্রসিকিউটর হারুন-অর-রশিদ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামি আয়েশার ছয় দিন এবং তার স্বামী
রাব্বি শিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি
উপজেলায় ফুফু শাশুড়ির বাড়ি থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮
ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর আসামি
আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত ৮
ডিসেম্বর সকাল ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি
স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি
নিরুপায় হয়ে সকাল ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের
বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং মেয়ের গলার ডান
দিকে কাটা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে তারা। ওই অবস্থা দেখে
মেয়েকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসার সিসিটিভি
ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পান— আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার
জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় তার মেয়ের একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ,
স্বর্ণালংকার ও অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা
করে বাদী নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো
সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে
হত্যা করা হয়েছে।