মেসির কলকাতা সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা-ভাঙচুর, ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
৩ ঘন্টা আগে শনিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। শুক্রবার গভীর রাতে তিনি কলকাতায় পৌঁছান। বিমানবন্দরের বাইরে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক ভক্তের উপস্থিতি ছিল। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়াম ও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে এক নজর দেখতে জনসমাগম যে ব্যাপক হবে, তা ছিল অনুমেয়। তবে ভক্তদের সেই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একপর্যায়ে তা স্থগিত করতে হয়। মাত্র প্রায় ২০ মিনিট মাঠে উপস্থিত ছিলেন মেসি, ফলে অনেক দর্শক কাছ থেকে তাকে দেখার সুযোগ পাননি।এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা যায়। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দূর থেকে কেবল ঝাপসা একটি অবয়বই চোখে পড়েছে। আবার এক ভক্ত জানান, নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে মেসিকে দেখতে এসেছিলেন তিনি।মেসি স্টেডিয়াম ত্যাগ করার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ দর্শকরা সল্টলেক স্টেডিয়ামের ভেতরে ভাঙচুর চালান। চেয়ার উপড়ে ছোড়া হয়, ডাগআউটের ছাউনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরো স্টেডিয়ামটি যেন কোনো বড় ধরনের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার রূপ নেয়।একই ধরনের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেও। কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনার পর মেসির ভারত সফরের মূল আয়োজক শতদ্রুকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। মেসির সফরসূচি অনুযায়ী পরবর্তী গন্তব্য হায়দরাবাদ, এরপর মুম্বাই ও দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও আয়োজকের গ্রেপ্তারের কারণে এসব অনুষ্ঠান আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি মেসি ও তার ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি লেখেন, সল্টলেক স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনায় তিনি বিস্মিত ও মর্মাহত। হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঘটনার দ্রুত তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানান।