মোস্তাফিজের ‘বেগুনি ক্যাপ’ ফিরে পাওয়ার ম্যাচে সহজ জয় চেন্নাইয়ের
২ দিন আগে বুধবার, অক্টোবর ৯, ২০২৪
ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষে ফের আইপিএল খেলতে ভারতে গেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেখানে গিয়েই বল হাতে আলো ছড়ালেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।ফিরে পেলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির ‘বেগুনি ক্যাপ’ (পার্পল ক্যাপ)। তার দল চেন্নাই সুপার কিংসও পেলো সহজ জয়ের দেখা। যা ঘরের মাটিতে তাদের টানা তৃতীয় জয়।
২০২৪ আইপিএলের ২২তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন মোস্তাফিজরা। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আজ আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় কলকাতা। জবাবে ৩ উইকেট হারালেও ১৮তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। এ নিয়ে আসরে তৃতীয় জয় পেল তারা। আর এবার এটাই কলকাতার প্রথম হার।
আগে ব্যাট করতে নামা কলকাতাকে অল্প রানে আটকে রাখার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মোস্তাফিজ। ভিসা-সংক্রান্ত কাজের জন্য ঢাকায় ফেরায় খেলতে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। ম্যাচটি হারে চেন্নাই। আজ মোস্তাফিজ ফিরেছেন, জয়ে ফিরেছে তার দলও।
আজ বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে ২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তাতে আবারও মাথায় পরলেন পার্পল ক্যাপ।৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজ।
আজকের ম্যাচের আগে অবশ্য চার নম্বরে ছিলেন দ্য ফিজ। শীর্ষে ওঠার জন্য দুই উইকেটই প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসারের। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে মোস্তাফিজ পেছনে ফেলেছেন যুজবেন্দ্র চাহালকে। ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের এই স্পিনার।
কলকাতার বিপক্ষে যদিও প্রথম তিন ওভারে উইকেটের দেখা পাননি মোস্তাফিজ। চিপক স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ওভারে ছয় রান দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারেও একই রান খরচ করেন। তার পরের দুই ওভার জমিয়ে রাখা হয় ডেথ ওভারের জন্য। সেখানেও বাজে বোলিং করেননি মোস্তাফিজ। তৃতীয় ওভারে চারটি ডট দিলেও হজম করতে হয় ৯ রান। ভাগ্য সহায় থাকলে আন্দ্রে রাসেলের উইকেট পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্যাচ মিস করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
নিজের ও দলের শেষ ওভারে এসে প্রথম বলেই কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে শিকার করেন মোস্তাফিজ। তার বলে ডিপ মিড উইকেটে থাকা রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দেন আইয়ার।
চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্ককে তুলে নেন মোস্তাফিজ। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দেন স্টার্ক। এমন দারুণ বোলিংয়ের কারণে শেষ ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পারে কলকাতা।
মোস্তাফিজ ছাড়াও চেন্নাইয়ের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার দেশপান্ডে। দুজনেই পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এর মধ্যে জাদেজা ছিলেন সবচেয়ে ইকোনোমিক্যাল। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করেছেন এই বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
এদিকে লক্ষ্য হাতের নাগালে থাকায় চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা শুরু থেকেই নির্ভার হয়েই ব্যাট করেছেন। যদিও ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ৮ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন। কিন্তু এরপর দারুণভাবে হাল ধরেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেরিল মিচেল। দুজনের ৭০ রানের জুটিতে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় চেন্নাই।
১৯ বলে ২৫ রান করে মিচেল বোল্ড হয়ে ফেরেন কলকাতার ক্যারিবীয় স্পিনার সুনিল নারিনের বলে। তবে তাতে চেন্নাইয়ের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কারণ এরপর শিভম দুবে দারুণ সঙ্গ দেন রুতুরাজকে। দলকে জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে রেখে আউট হন দুবে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস। রুতুরাজ অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে।
৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে চেন্নাই। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে প্রথম হারের মুখ দেখা কলকাতার পয়েন্টও চেন্নাইয়ের সমান ৬। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তারা আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্ট ৮। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে কোনো ম্যাচ হারেনি তারা।