শ্বাসনালি পোড়া হালিমা লাইফ সাপোর্টে, ৩জনকে ছাড়পত্র
১৬ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
‘রাজধানীর গোপিবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় শ্বাসনালি পোড়া নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে
ভর্তি ১০ জনের মধ্যে হালিমা (৬০) নামের এক নারী লাইফ সাপোর্ট রয়েছেন। এছাড়া অন্য ৯জনের
মধ্যে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ৩জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে’।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল বাংলনিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গোপিবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে
আগুনের ঘটনায় ধাপে ধাপে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়। এদের তেমন দগ্ধ না
হলেও সবারই শ্বাসনালি পোড়া ছিল। তাই সবাইকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া
১০ জনের মধ্যে আগে থেকেই অ্যাজমা আক্রান্তের পাশাপাশি ট্রেনের আগুনের ঘটনায় শ্বাসনালি
পোড়া হালিমা নামের
হালিমার ছেলে রাসেল উদ্দিন সোহাগ জানিয়েছেন,
ওইদিন তার মা একাই ট্রেনে করে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন মুগদার মান্ডায় হালিমার ভাগনির
বাসায় বেড়াতে। ভাগনির বর তাকে নেওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনে
আগুন লাগার এক নারীকে আইসিইউর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৯জনের মধ্যে আজকে ৩জনকে
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। বাকিরা এখনও ভর্তি আছেন তাদের ইমপ্রুভ হচ্ছে।
এছাড়া ঘটনার পরের দিন মুগদা হাসপাতাল থেকে
হালিমাসহ ২জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই দুইজনকে নিয়ে ট্রেনের আগুনের
ঘটনায় মোট ১০ জনকে ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ হালিমার বাড়ি যশোরের জিকরগাছা উপজেলার
পায়রাডাঙ্গায়। হালিমা গৃহিণী আর তার স্বামী আহমেদ গাজী তেমন কিছু করেন না।
ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালি পুড়ে যায়। ট্রেনটি থামার পর
তিনি সেখান থেকে বের হন। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে মোবাইলফোন বের করে এরপর এক মেয়ে
তাদের ঘটনাটি জানান। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে অপেক্ষারত ভাগনির বর তাকে খুঁজে পান এবং
মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
তিনি আরও জানন, আমার মায়ের শরীরের কোথাও
বাহ্যিক দগ্ধ হয়নি। তবে ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
এর আগে
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপিবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে পাওয়ার
কারসহ ৪টি বগি পুড়ে যায়। এতে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২ নারী, ১ শিশুসহ চারজন। আহত হয়েছে
দশ জন।