স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখনই সম্ভব : সংস্কার কমিশন
১৭ দিন আগে মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশের একটি সারসংক্ষেপ গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়।
ঐ সারসংক্ষেপে সুপারিশ করে বলা হয় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের মতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে এবং এ মুহূর্তে করা সম্ভব। তা না হলে নির্বাচনের পূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার সৃষ্ট হতে পারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-এর পরবর্তী সময়ে দেশে কার্যত কোনও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই।
গত
১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক
তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার। এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএস-এর পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী
উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
কমিশনের মতে, বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনও সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করে আগামী জুনের মধ্যে সব সমতল ও পাহাড়ের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে সমাপ্ত করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে বলে মনে করেন কমিশন।
সংস্কার কমিশন বলছে, এসব নির্বাচন অনুষ্ঠানে পাঁচ বছরে মাত্র একবার সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এতে করে নির্বাচন ব্যবস্থাটিও ব্যয় সাশ্রয়ী ও সময় সাশ্রয়ী হবে। অভিন্ন বা সমন্বিত দুইটি স্থানীয় সরকার আইনের খসড়া এ কমিশন প্রস্তাব আকারে পেশ করছে। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ আকারে প্রণয়ন করতে পারে, অথবা পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার আইন আকারে প্রণয়ন করতে পারে।
সংস্কার
কমিশন জানান, এ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্য ও সেবা প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন
ভিন্ন থাকবে।
