হাদিকে গুলি করা বাইক চালকের ঘনিষ্ঠ ২ সহযোগী আটক
৭ ঘন্টা আগে রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালক আলমগীরের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আটক দুজন হলেন মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিব।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুর চর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলিবর্ষণের দিন বাইকচালক আলমগীরের সঙ্গে আটক দুই সহযোগীর মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগ ছিল। ওই দিন আলমগীরের ফোন থেকে মিলনের নম্বরে ৭৪ বার এবং হাবিবের সঙ্গে ৫২ বার কথা বলার তথ্য পাওয়া গেছে, যা কিলিং মিশনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও শনাক্ত করেছে র্যাব। ওই মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। রোববার তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-২ জানায়, আটক হান্নানের বাড়ি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় হলেও তার স্থায়ী ঠিকানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হান্নান একাধিকবার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। কখনো বলেছেন মোটরসাইকেল বিক্রি করেছেন, আবার কখনো বলেছেন সেটি গ্যারেজে ছিল—তবে কোনো দাবির পক্ষেই তিনি প্রমাণ দিতে পারেননি।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেলটির নম্বর (৫৪-৬৩৭৫) শনাক্ত করা হয় এবং বিআরটিএ থেকে যাচাই করে মালিকানা নিশ্চিত করা হয়। হান্নান হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের পূর্বপরিচিত হলেও দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠজন এবং জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বক্স কালভার্ট রোড দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলযোগে এসে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।