‘আত্মহত্যাচেষ্টার’ পর বেরিয়ে এলো অটোরিকশাচালকের চাঞ্চল্যকর তথ্য
৮ দিন আগে রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
সিলেটে আত্মহত্যা চেষ্টার অনুসন্ধান করতে গিয়ে অটোরিকশাচালক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ খালেদ মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নগরীর টুকেরবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মালেক মিয়া (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অটোরিকশাচালকের আত্মহত্যা চেষ্টার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের তথ্য পায় পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে রণজিৎ দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের পেছনের নর্দমা থেকে দুটি বস্তাবন্দি অবস্থায় রণজিৎ দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রণজিৎ দাস সিলেট নগরীর টুকেরবাজার দুসকি এলাকার বাসিন্দা। তিনিও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রণজিৎ দাস।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রণজিৎ দাস। এ ঘটনায় তার ছেলে শংকর দাস সিলেটের জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ রণজিৎ দাসের সঙ্গে মালেক মিয়ার কথা বলার ও একসঙ্গে অবস্থানের তথ্য পায় পুলিশ। পরে মালেক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুকেরবাজার এলাকায় মালেক মিয়া নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আহতাবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।