ওসমান হাদির বোনকে দেওয়া হচ্ছে গানম্যান ও লাইসেন্স
২ ঘন্টা আগে সোমবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
ফ্যাসিবাদ
ও আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শহীদ ওসমান হাদির পরিবারকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হাদির এক বোনকে ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান দেওয়া
হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি সুরক্ষা থাকবে।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, জুলাই যোদ্ধা, আন্দোলনের সমন্বয়ক,
সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
নিশ্চিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারিতে থাকা কয়েকজনকে
ইতোমধ্যে গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
নিরাপত্তা পাওয়া
ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির
আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র
যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। এছাড়া জামায়াতের
আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান
পার্থ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গানম্যান চেয়ে আবেদন করেছেন।
সূত্র জানায়,
আবেদনের ভিত্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিএনপির মনোনীত সংসদ-সদস্য
প্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন, জাফির তুহিন, জেপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার
হোসেন মঞ্জু এবং এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদসহ আরও কয়েকজনকে শিগগিরই গানম্যান ও
অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে নির্বাচন বানচালের
ষড়যন্ত্রের তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা গত বছরের ৫ আগস্টের
পর থেকেই ধারাবাহিক হুমকির মুখে রয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্য
অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পলাতক নেতাকর্মীরা দেশে ও বিদেশ থেকে
জুলাই যোদ্ধাদের হুমকি দিয়ে আসছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকেও হত্যার আগে
দীর্ঘদিন বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর তাকে গুলি করা হলে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, লিখিত আবেদন ছাড়া নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। গত রোববার পর্যন্ত
১২ জন লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত আইজিপি
খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, জুলাই যোদ্ধা ও সংসদ-সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা নিরাপত্তা
ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের গানম্যান দেওয়া হচ্ছে। আর যারা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স
চেয়েছেন, তাদের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা
হচ্ছে।