কুষ্টিয়ার গাছিরা খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত
৩ দিন আগে শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৫

প্রকৃতিতে
শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে শুরু করেছে কার্তিক মাসের শুরু থেকেই। শহরে এর প্রভাব বোঝা
না গেলেও গ্রামাঞ্চলে সন্ধ্যা হলেই শীত-শীত অনুভূত হয়, দেখা মিলে কুয়াশারও। কার্তিকের শেষভাগে অগ্রহায়নের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। শীতের শুরু থেকেই গ্রামীণ জনপদের মাঠে ময়দানে, রাস্তাঘাটে খেজুর গাছে দেখা মিলছে গাছিদের। একজন গাছি খেজুর গাছকে সুন্দর করে পরিস্কার করে গাছের বুক চিরে রস বের করে।
সুস্বাদু এই রসের চাহিদা
রয়েছে দেশের আনাচে-কানাচে। শীত যত বাড়ে খেজুর
রসের চাহিদাও ততো বাড়ে। আবহমানকাল থেকে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে খেজুর রস দিয়ে তৈরি
হয় নানা ধরনের পিঠা পায়েস।
বর্তমানে
শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমাণ টং দোকান দিয়ে
যান্ত্রিক ইট পাথরের মানুষকে
কিছুটা শীত মৌসুমের পিঠার স্বাদ দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। মিষ্টি শীতের শুরুতেই কুয়াশা উপেক্ষা করে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে
ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার গাছিরা।
শহরের
১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭নং
ওয়ার্ডের ফুলবাড়িয়া গ্রামে কুষ্টিয়া বাইপাস সড়কের পাশে ও বটতৈল গ্রামে
আছে প্রচুর খেজুরের গাছ। এখানে রাজশাহী থেকে গাছিরা এসে রস সংগ্রহ করেন।
এছাড়া মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলা
এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অন্তর্গত গ্রামগুলোতেও প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে
আগুনে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকমের
পাটালি ও লালি (ঝোলা)
গুড়।
শীত
মৌসুমের রস সংগ্রহের এই
সময়টাতে কাজের চাপে যেন দম ফেলারও সময়
নেই গাছিদের। কুষ্টিয়া শহরে খেজুর রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এক গ্লাস রস
সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫
টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু রস বিক্রি করে
অনেকটা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে গাছিরা। খেজুর গাছের বুক চিরে সাদা অংশ বের করে একটি পাইপ লাগিয়ে মাটির পাত্র (কলসি) বেঁধে সকাল ও সন্ধ্যায় রস
সংগ্রহ করা হয়।
