গাছ ও ফুলের তৈরি শহীদ মিনার
৩ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
গ্রীলে ঘেরা সুসজ্জিত ফুলের বাগান। বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী গাছ। আর সেই গাছগুলো কেটে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিকে গাদা ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। এই নান্দনিক শহীদ মিনারটি ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই ব্যতিক্রম শহীদ মিনারটি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে সবাই যখন ইট-পাথর দিয়ে তৈরি তখন ব্যতিক্রম এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে দেখা যায়।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে শিরোনাম হয়ে ছিলেন, এই শহীদ মিনার। পরে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সোহেল আরমান নামে এক তরুণ বলেন, একজন শিক্ষকের সৃজনশীল এমন কাজ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। উনার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
এই বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। সেই থেকেই বাগানে গাছ ও ফুল দিয়ে বিভিন্ন প্রতীক ও স্তম্ভ তৈরি করি। এর মধ্যে শহীদ মিনারটি অন্যতম। গত বছরের মত এবারো এই শহীদ মিনারটি সাজানো হয়েছে। বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এই বাগানের কাজ আরো প্রসারিত করতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে তৈরিকৃত শহীদ মিনারটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটির পিছনে যারা শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
খানসামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, এটি একটি সৃজনশীল কাজ। নিশ্চয়ই এটি প্রশংসার দাবিদার। এই বাগান তৈরিতে কোমলমতি শিশুদের মেধাবিকাশ ঘটবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, তিনি এই বাগান করে ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য এটি একটি সৃজনশীল উদ্যোগ।