ডাকাতদের ঘাঁটি থেকে উদ্ধার করা হলো ৮ জন জিম্মি জেলে
৪৪ মিনিট আগে বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৫
সুন্দরবনের গহীনে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ‘জাহাঙ্গীর বাহিনী’র আস্তানা থেকে জিম্মি থাকা আটজন জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। অভিযানকালে ওই এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও জব্দ করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক আজ দুপুরে সাংবাদিকদের এই সাফল্যের কথা নিশ্চিত করেন।
জিম্মিদশা ও উদ্ধার অভিযান
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে সুন্দরবনের শিবসা নদীর ছোট ডাগরা খাল এলাকায় ডাকাত জাহাঙ্গীর বাহিনী বেশ কয়েকজন নিরীহ জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রার সদস্যরা দ্রুত একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান চলাকালে ডাকাতদের আস্তানা থেকে ৮ জন জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক, চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং সাত রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ জব্দ করা হয়। তবে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পাওয়ায় ডাকাত সদস্যরা বনের গহীনে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ফলে কাউকে আটক করা যায়নি।
নির্যাতিত জেলেদের বিবরণ
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে রয়েছেন কয়রার আতিয়ার (২৮), আবুল খায়ের গাজি (২৪), মকছেদ আলী (৫০), মিজানুর রহমান (৩৭), কৃষ্ণপদ রপ্তান (৪৫), সুগদেব মন্ডল (২৭), মোশারফ হোসেন ঢালী (৬০) এবং জলিল গাজি (৩৫)। তারা প্রায় সবাই ৪ নম্বর কয়রা ও মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তাদের গত সাত দিন ধরে জিম্মি করে রেখেছিল এবং মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, সুন্দরবনকে জলদস্যু ও ডাকাতমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।