তিস্তা সেতুর অনেকটাই দৃশ্যমান
৫ দিন আগে সোমবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
গাইবান্ধার
সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিস্তায় সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন-রাত
কাজ চলছে। সেতু তৈরিতে নির্ধারিত ৩১টি স্প্যানের মধ্যে বসেছে ২১তম স্প্যান। যার ফলে
অনেকটাই দৃশ্যমান তিস্তা সেতু।
স্থানীয়রা
বলছেন, সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, উলিপুর, ভুরাঙ্গামারী ও চিলমারী থেকে
সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে প্রয় ১৩৫ কিলোমিটারের মতো। দূরত্ব কিছুটা কমবে বিভাগীয়
শহর রংপুরেরও। স্থানীয় জনজীবনে মিলবে কাঙ্ক্ষিত গতি।
তারা
আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তিস্তা নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করতে নৌকায় ২ঘণ্টার বেশি সময়
লাগে। তাছাড়া সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে হয় অনেক সময় ধরে। সেই সঙ্গে রোদে পোড়া-বৃষ্টিতে
ভেজাসহ নৌকা ডুবিতে প্রাণ-সম্পদ হারানোর শঙ্কা রয়েছে। সেতুটি চালু হলে সহজেই ওপার থেকে
এপারে আসা-যাওয়া করা যাবে।
গাইবান্ধা
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের
হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। এই
সেতুটি এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত দেশের প্রথম দীর্ঘতম সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার
৪৯০ মিটার। সেতুটিতে বসানো হবে সর্বমোট ৩১টি স্প্যান। যার মধ্যে ২১টি বসানো হয়েছে।
আগামী মাসের ৩/৪ তারিখে আরও একটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
২০১৪
সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে শুরু হয় সেতুটির নির্মাণ কাজ। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে
৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।