প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
১১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমান প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে বাসে স্ট্রোক করে মারা যান বড় ভাই। বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ছোট ভাইয়ের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বড় ভাইয়ের জানাজা শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮) ও তাজুল ইসলাম (৫৫) নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাকছুদুর রহমান জানান, গত ২০ বছর ধরে তাজুল ইসলাম জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে বসবাস করছিলেন। পাঁচ দিন আগে তিনি ওমানে স্ট্রোক করে মারা যান। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। এজন্য বড় ভাই দ্বীন ইসলাম দুই দিন আগে ঢাকা চলে যান। যাত্রা পথে তিনি বাসে স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বীন ইসলামও দীর্ঘ দিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। পরে তার সন্তানরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি।
জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আকবর জানান, শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন।