২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস

Bortoman Protidin

২৬ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫


#

 ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

রায়ে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশ বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আজ রায় ঘোষণা করা হল।

২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে।

পাশাপাশি দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল, নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ী আসামি পক্ষ আপিল করে।

গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল দায়ের করেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন। রায়ের পর একই বছর বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছে। পেপার বুক প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি সম্পন্ন হলো। এখন হাইকোর্ট রায়ের অপেক্ষায়। এ মামলায় বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
#

অযৌক্তিক কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে : সমন্বয়ক সারজিস আলম

#

প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

#

অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

#

কুড়িগ্রামে শীতের দাপট, তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে

#

ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে যাচ্ছে ‘প্রত্যয়’

#

চাটখিলে ৭ বছর বয়সী শিশুকে কুপিয়ে হত্যা

#

প্রতি সপ্তাহে ২০০ শহীদের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে: সারজিস আলম

#

বিজয় দিবসে তেজগাঁও বিমানবন্দর সংলগ্ন আকাশসীমায় ড্রোন না ওড়ানোর নির্দেশনা

#

চাঁদপুরে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতাসহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

#

বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা চালু হলো

সর্বশেষ

#

চট্টগ্রামের ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল, মনোনয়ন চূড়ান্ত

#

ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা থাকবে না—সরকারের লক্ষ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

#

এনসিপি নেতাকে গুলিবর্ষণকারী ডিকে শামীম গ্রেপ্তার

#

নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করা হবে : শিল্প উপদেষ্টা

#

প্রবাসী ভোটারের নিবন্ধন সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ

#

কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেন আসিফ মাহমুদ

#

তারেক রহমানের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন

#

শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

#

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

#

সূর্যাস্তের আগে যেতে না পারায় স্মৃতিসৌধে তারেকের পক্ষে নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদন

Link copied