৬ মরদেহ চেনা যাচ্ছে না, হবে ডিএনএ পরীক্ষা
৯ দিন আগে সোমবার, অক্টোবর ৭, ২০২৪
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে এখনো ছয়জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই ছয়জন বেশি পুড়েছে। তাদেরকে চেনা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা নেয়ার হবে।
সকালে ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরির্দ্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামান্ত লাল সেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। নিহত সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, “যারা মারা গেছেন তারাও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছে। অর্থাৎ, একটা বদ্ধ ঘরে যখন বের হতে পারে না, তখন ধোঁয়াটা শ্বাসনালীতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন। তবে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
আহতের সংখ্যা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন, মোট ১২ জন। আমাদের এখানে যারা আছে, সবাই দগ্ধ এবং তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন লাগে। বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তাঁরা।