বুবলীকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল: শাকিব
১০ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
জমে উঠেছে ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর কথার লড়াই। একজন কিছু বলছেন তো আরেকজন সেটার পাল্টা দিচ্ছেন। এবার বুবলীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাল্টা জবাব দিলেন শাকিব। সেখানে কিছু গুরুতর অভিযোগ আনলেন নায়িকা বিরুদ্ধে। এও জানালেন, একবার তার বাসা থেকে বুবলীকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বুবলীর দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে বিশদভাবে মুখ খোলেন এই ঢালিউড অভিনেতা। অভিযোগের সুরে তিনি জানান, বুবলী তাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবেই ব্যবহার করেছে। সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম— সবই করেছে। এর পরপরই গুরুতর অভিযোগ তোলেন বুবলীর বিরুদ্ধে।
শাকিবের কথায়, ‘আমিও তাকে (বুবলী) অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানাজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো, হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব? কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন?’
সাক্ষাৎকারে ঈদে একান্তে সময় কাটানোর ব্যাপারেও মুখ খোলেন শাকিব। জানান, সবটাই মিথ্যা এবং বানানো গল্প। শাকিব বলেন, ‘দেখুন, আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এটিও তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারো সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে।’
তার কথায়, ‘শেহজাদের জন্মদিনেও সে জোর করে আমার বাসায় এসেছে। শেহজাদকে তার ন্যানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যাক, ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি।’
গাড়িতে একসঙ্গে ঘোরার বর্ণনাও ওঠে আসে তার বয়ানে। তিনি বলেন, ‘শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে।’