ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুড়ি ভাজার মহল্লা

Bortoman Protidin

২৪ দিন আগে শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫


#

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:

মুড়ি ভাজার কারখানা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রাম। মাহে রমজানকে সামনে রেখে দেশীয় মুড়ি ভাজার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই গ্রামের পালবাড়ির বাসিন্দারা। এ যেন কারিগরদের ধম নেয়ারও সময় নেই।

সরেজমিনে কাদলা গ্রামের পাল বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন মুড়ি ভাজার কারিগরদের সাথে কথা হয়। ওই গ্রামের বিমল পাল,শ্যামল পাল, যুবরাজ,অমর পাল ও অজয় পাল জানান,মুড়ি ভাজা আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত পেশা হিসেবে মুড়ি ভাজার কাজে আছি। সংসারের হাল ধরার একমাত্র উপার্জনক্ষন ব্যক্তি হিসেবে তারা বংশগত এ পেশার উপরেই নির্ভরশীল রয়েছেন বলেও তারা জানান।

তারা আরো জানান, মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। বর্তমান যুগে মুড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের এখানে আগের মতো এখন আর কেউ মুড়ি ভাজতে আসে না। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মুড়ি ২০ টাকা প্রতি কেজি ধরে ভাজা হয় প্রতিটি পরিবারে। প্রতি কেজি মুড়ি তারা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করেন। এক সময় এ গ্রামে ২৫টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে থাকলেও বর্তমানে ৩/৪টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় এবং আধুনিক মেশিনে মুড়ি ভাজায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। তবে রমজান আসলে একটু  চাহিদা থাকলেও বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। মুড়ি ভাজতে লবন, বালু লাগলেও এতে সহায়ক হিসেবে মাটির চুলা, লাকরি ও মাটির কড়াইয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এতে এক একটি পরিবারের ৪ থেকে ৫ জন সদস্য সার্বক্ষনিক মুড়ি ভাজার কাজে সহায়তা করে থাকেন।

এমনি ভাবে কাদলা পাল বাড়ির অজয় পাল, যুবরাজ পাল, বিমল পাল, দিলিপ পাল, বিষ্ণু পদ পাল, বিমল পালের পরিবারও এ মুড়ি ভাজার কাজ করে তাদের সংসার চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তবে তারা জানান, এ পেশায় আগের মতো চাহিদা না থাকায় এবং লোকজন আগের মতো মুড়ি না ভাজায় বাধ্য হয়ে বংশগত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে অনেকে।

তাদের দাবি বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত এ পেশা বদল করতে চাইলেও পারছে না এবং কাছা-কাছি এলাকায় বৃহৎ বাজার না থাকায় ইচ্ছা করলেও ব্যবসা করতে পারছে না তারা।

বিমল পাল,শ্যামল পাল ও অমর পাল জানান, চলতি বছর এক মন ধান ১৭-১৮শ টাকায় ক্রয় করতে হয়। মুড়ির দাম কম হওয়ায় এবং আগের মতো মানুষের হাতে ভাজা মুড়ি ক্রয়ে আগ্রহ না থাকায় এ পেশায় আমাদের এখন আর পোষে না। আমরা বাপ দাদার ঐতিহ্য পেশায় ধরে রাখলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ছেলেরা এ পেশায় থাকবে না। তারা আরো জানান, ইচ্ছা করলেই এ পেশা বদল করা যায় না। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা এনজিও সংস্থার ঋণ সহায়তা নিয়ে এ পেশাকে এগিয়ে নিতে চান কাদলা গ্রামের মুড়ি ভাজার কারিগড়রা ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
#

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

#

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবোঝাই নসিমনের ধাক্কা

#

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির শঙ্কা

#

ছিনতাইয়ের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মালামাল উদ্ধারসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

#

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুট পরিবর্তন করে ট্রেন চলছে

#

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট ৬ প্রতিষ্ঠান‌কে ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা

#

কুমিল্লায় জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে লাল সবুজের লড়াইয়ে লাল দলের বিজয়

#

রাজবাড়ীতে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

#

চৌদ্দগ্রামে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪টি প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ২৮ হাজার টাকা

#

নাশকতা মামলায় র‌্যাবের হাতে ২২৮ জন গ্রেফতার

সর্বশেষ

#

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কুমিল্লা ইউনিট এর অ্যাডহক কমিটি গঠন

#

মিনি কোল্ড স্টোরেজ কৃষকের ক্ষতি কমাবে : কৃষি উপদেষ্টা

#

কুমিল্লায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা

#

পিআর পদ্ধতি হলো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা : কুমিল্লায় বরকত উল্লাহ বুলু

#

কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

#

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে ছদ্মবেশে ইউএনওর অভিযান !

#

মৎস্যসম্পদ সুরক্ষায় দেশবাসীকে পরিবেশের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

#

ফুলের তোড়া পাঠিয়ে খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

#

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথবাহিনীর অভিযান

#

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের খবর দিলে পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Link copied