ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুড়ি ভাজার মহল্লা

Bortoman Protidin

১১ দিন আগে রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪


#

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:

মুড়ি ভাজার কারখানা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রাম। মাহে রমজানকে সামনে রেখে দেশীয় মুড়ি ভাজার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই গ্রামের পালবাড়ির বাসিন্দারা। এ যেন কারিগরদের ধম নেয়ারও সময় নেই।

সরেজমিনে কাদলা গ্রামের পাল বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন মুড়ি ভাজার কারিগরদের সাথে কথা হয়। ওই গ্রামের বিমল পাল,শ্যামল পাল, যুবরাজ,অমর পাল ও অজয় পাল জানান,মুড়ি ভাজা আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত পেশা হিসেবে মুড়ি ভাজার কাজে আছি। সংসারের হাল ধরার একমাত্র উপার্জনক্ষন ব্যক্তি হিসেবে তারা বংশগত এ পেশার উপরেই নির্ভরশীল রয়েছেন বলেও তারা জানান।

তারা আরো জানান, মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। বর্তমান যুগে মুড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের এখানে আগের মতো এখন আর কেউ মুড়ি ভাজতে আসে না। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মুড়ি ২০ টাকা প্রতি কেজি ধরে ভাজা হয় প্রতিটি পরিবারে। প্রতি কেজি মুড়ি তারা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করেন। এক সময় এ গ্রামে ২৫টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে থাকলেও বর্তমানে ৩/৪টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় এবং আধুনিক মেশিনে মুড়ি ভাজায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। তবে রমজান আসলে একটু  চাহিদা থাকলেও বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। মুড়ি ভাজতে লবন, বালু লাগলেও এতে সহায়ক হিসেবে মাটির চুলা, লাকরি ও মাটির কড়াইয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এতে এক একটি পরিবারের ৪ থেকে ৫ জন সদস্য সার্বক্ষনিক মুড়ি ভাজার কাজে সহায়তা করে থাকেন।

এমনি ভাবে কাদলা পাল বাড়ির অজয় পাল, যুবরাজ পাল, বিমল পাল, দিলিপ পাল, বিষ্ণু পদ পাল, বিমল পালের পরিবারও এ মুড়ি ভাজার কাজ করে তাদের সংসার চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তবে তারা জানান, এ পেশায় আগের মতো চাহিদা না থাকায় এবং লোকজন আগের মতো মুড়ি না ভাজায় বাধ্য হয়ে বংশগত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে অনেকে।

তাদের দাবি বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত এ পেশা বদল করতে চাইলেও পারছে না এবং কাছা-কাছি এলাকায় বৃহৎ বাজার না থাকায় ইচ্ছা করলেও ব্যবসা করতে পারছে না তারা।

বিমল পাল,শ্যামল পাল ও অমর পাল জানান, চলতি বছর এক মন ধান ১৭-১৮শ টাকায় ক্রয় করতে হয়। মুড়ির দাম কম হওয়ায় এবং আগের মতো মানুষের হাতে ভাজা মুড়ি ক্রয়ে আগ্রহ না থাকায় এ পেশায় আমাদের এখন আর পোষে না। আমরা বাপ দাদার ঐতিহ্য পেশায় ধরে রাখলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ছেলেরা এ পেশায় থাকবে না। তারা আরো জানান, ইচ্ছা করলেই এ পেশা বদল করা যায় না। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা এনজিও সংস্থার ঋণ সহায়তা নিয়ে এ পেশাকে এগিয়ে নিতে চান কাদলা গ্রামের মুড়ি ভাজার কারিগড়রা ।

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

সর্বশেষ

#

বিরামপুরে মুক্তমঞ্চ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক

#

বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের

#

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়,৮.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস

#

বাংলাদেশে কোনও অবৈধ বিদেশিকে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

#

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে

#

ইউরোপের ৮টি দেশের ভিসা দেবে ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাস

#

কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ড. ইউনূস

#

খানসামায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

#

২১ আগস্ট গ্রে'নে'ড হা'ম'লা মামলায় তারেক রহমান ও কায়কোবাদ খালাস পাওয়ায় কুমিল্লা মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল

#

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে আটক

Link copied