কলেজের শ্রেণিকক্ষে বিয়ে, মাঠে আয়োজন খাওয়াদাওয়ার
১০ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর মহিলা কলেজের শ্রেণিকক্ষ নম্বর ১০১ । সচরাচর এ কক্ষ
দিনের বেলা শিক্ষার্থীদের সমাগমে থাকে ভরপুর আর দিনশেষে জনমানবহীন।
কিন্তু রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায উক্ত নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা মিলল
এক ভিন্ন চিত্রের ।
কক্ষের মধ্যে বিয়ের মঞ্চ তৈরী করে তাতে বসা বর ও কনে আর মঞ্চের আশপাশের পুরো
অংশ বর ও কনে পক্ষের অতিথিতে পরিপূর্ণ।
কলেজসীমানার ভেতরের মাঠে চলছিলো বরযাত্রী ও কনে পক্ষের অতিথিদের জন্য খাওয়াদাওয়ার
যাবতীয় আয়োজন।
আরিফুল-আঁখি দম্পতির বিয়ে উপলক্ষে ছিল এই আয়োজন।
বর আরিফুল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শ্যামবাসেরপাড়া গ্রামের মোমিনুল ইসলামের
ছেলে। আর কনে বিরামপুর পৌর শহরের পূর্ব জগন্নাথপুর মহল্লার আজাহার আলীর মেয়ে ফাতেমা
বিনতে আজাহার ওরফে আঁখি। বিয়ে শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বরযাত্রীরা কনেকে গাড়িতে
করে পীরগঞ্জে রওনা দেন।
কলেজের একাডেমিক ভবনের ১০১ নম্বর কক্ষটি বিয়ের আসরের জন্য ব্যবহার করেন স্থানীয়
একটি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ কেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার
করা হয়েছে, এ বিষয়ে বর ও কনে পক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।
কলেজের ওই শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত বিয়েটি স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার মোখলেছুর রহমান
তিন লাখ টাকা মোহরানায় রেজিস্ট্রি করেন। কনের বাবার বাড়িতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায়
বাড়ির পাশের কলেজে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
এ বিষয়ে বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি
জানান, মেয়েটি (কনে) উক্ত কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। কলেজে ওই মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান
করার জন্য মেয়ের বাবা কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। আর এ সময় কলেজে ঈদের ছুটি
থাকাতে বিয়ের জন্য কলেজের মাঠ ও কক্ষটি ব্যবহার
করতে দেওয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের আসর বসানোর কোনো নিয়ম আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিরামপুর
মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, কলেজের শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ চত্বরের ভেতরে বিয়ের
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের
অনুষ্ঠান আয়োজন করার কোনো সুযোগ নেই।
কলেজের শ্রেণিকক্ষে বিয়ের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নুজহাত
তাসনীম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন
করা নীতিগতভাবে ঠিক নয় বলে আমার যত দূর মনে হচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে
আর বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।