চুয়াডাঙ্গায় বোরো বীজতলায় শীত-কুয়াশায় ক্ষতির আশংখা
১১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধানের বীজতলা যত্ন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে বীজতলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। এই শীতে ধানের চারায় যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য সব যত্ন ও পরিচর্যা করছেন তারা। তবুও রয়েই গেছে ক্ষতির আাশঙ্কা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। যা থেকে এবার ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার চারার ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবীজতলার চারা হলুদ রংয়ের বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এতে ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা তা পূরন হওয়া নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। দুঃশ্চিন্তা দেখে গেছে কৃষকদের মধ্যেও।
এবার বীজের দাম বেশি তাই খরচের অংকটাও অনেক। এ খরচের পর যদি আবার ক্ষতি দেখা হয় তাহলে ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচ বাড়বে। অপরদিকে ফলন কমে যাবে। তখন বাইরে থেকে বীজতলার চারা কিনে নিয়ে এসে চারা রোপণ করতে হবে। এতে বোরো মৌসুমের ধান উৎপাদনে খরচের মাত্রা আরও বাড়বে। তবে কৃষকদের বীজ তলা যেন ভালো থাকে। সেই ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, এবার বোরো বীজতলা তৈরিতে খরচের মাত্রা অনেক বেশি। তাই বীজতলায় ক্ষতি হয়ে গেলে ধানের চারা রোপণের সময় অনেকটা দুর্ভোগে পড়বো। বীজতলায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা বীজতলার চারার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে যত্ন পরিচর্যা করছি। আর কয়েক মাস পর বোরো বীজতলার চারা রোপণ করা হবে জমিতে। এরপর উৎপাদন করা হবে বোরো ধান।
অপর কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন প্রতিদিনই ঘন কুয়াশা পড়ছে। এতে কিছু কিছু বীজতলায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বীজ হলুদ রংয়ের বির্বণ হয়ে গেছে কিছু বীজতলায়। ফলে ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা তা উঠবে কি না তা নিয়ে পড়েছি দুঃশ্চিন্তায়। এবার বীজের দাম বেশি তাই বীজতলা উৎপাদনে খরচের অংকটা বেশি। যদি কাঙ্খিত বীজতলায় চারা না পায়। তাহলে বাইরে থেকে চারা কিনে নিয়ে এসে রোপণ করতে হবে। এতে ধান উৎপাদনের খরচ বাড়বে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ বলেন, জেলার কৃষক এখন বোরো বীজ তলা যত্ন ও পরিচর্যা করছে। প্রতিবারই বীজতলায় কিছুটা ক্ষতি হয় কুয়াশার কারণে। কিন্তু এবার ক্ষতি যাতে না হয়, সেই ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে কুয়াশার যে শিশির ফোটা তা বীজতলার চারার উপর থেকে ভেঙে দিতে হবে। বীজের চারা ঠিক রাখার জন্য যা যা করণিয় তা সঠিক ভাবে করলে চারার কোনো ক্ষতি হবে না। ফলে বোরো ধান উৎপাদনে কাঙ্খিত যে আশা আছে তা পূরণ হবে।
Tweet
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন