সেন্টমার্টিনে আটকা দুই শতাধিক পর্যটক,কক্সবাজারে দিনভর বৃষ্টি
৪ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে কখনও হালকা, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় বৃষ্টিতে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ায় টেকনাফ–সেন্ট মার্টিন রুটে সবধরনের নৌযান চলাচল গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। সব আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সার্বিক প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো.মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন,‘অব্যাহত বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক। জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, বুধবার ৩টি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। এর মধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যেন কেউ নামতে না পারে, সে জন্য সতর্ক অবস্থানে ছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। বৈরি আবহাওয়ার সময় সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।