এগিয়ে ইমরান সমর্থিতরা, জোট গড়তে রাজি বিলাওয়াল -নওয়াজ
২৭ দিন আগে সোমবার, নভেম্বর ৪, ২০২৪
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষের পথে রয়েছে। এ পর্যন্ত যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। এ পরিস্থিতিতে জোট সরকার গড়তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছেন। নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭২টি আসন। বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জিতেছে ৫৩টি আসন। আর অন্য দলগুলো জিতেছে বাকি আসনে।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এন-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে এই বৈঠক হয়।
৪৫ মিনিট ধরে চলা ওই বৈঠকে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে দুই দলের নেতারা অবিলম্বে আলোচনায় বসবেন বলেও সম্মত হয়েছেন শাহবাজ ও জারদারি। এ সময় শাহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে’ পিপিপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই জানিয়েছে, নওয়াজ শরিফ ও মুসলিম লীগের অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে লাহোরে যাচ্ছেন পিপিপির দুই শীর্ষ নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো এবং আসিফ আলী জারদারি।
এদিকে শুক্রবার বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জানিয়েছিল, জোটে যেতে আপত্তি না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে।
পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ শুক্রবার জিও নিউজকে বলেন, জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’
অন্যদিকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) জানিয়েছে, অপর দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) বা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কিংবা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই দলটির।
জিও নিউজকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ফলাফল এসেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে পিটিআই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। তাছাড়া পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান তিনটি দলের মধ্যে এখন জোটের লড়াইয়ে বেশ নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত কে সরকার গঠন করতে পারবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয় (বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫টি আসনে)। একটি আসনে একজন প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।