কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে বহিষ্কার হলেন ছাত্রদল নেতা
২ ঘন্টা আগে বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৬, ২০২৫
শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসে প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকা ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই অফিসে আকস্মিক হামলা ও মারধরের ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি প্রণোদনার সুবিধাভোগীদের তালিকায় পছন্দের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা চালান।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, “আমরা সরকারি চাকরিজীবীরা এখন কর্মস্থল বা রাস্তায় কোথাও নিরাপদ নই। হামলাকারীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এ সময় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনার পর মামলা হয়েছে, কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমাদের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি।”
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রণোদনার তালিকায় ইচ্ছেমতো নাম যুক্ত করার জন্য কৃষি কর্মকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শেরপুর খামারবাড়ির উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সরকারি দপ্তরে ঢুকে কর্মকর্তার ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
নকলা থানার ওসি জানান, সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাহাত হাসান কাইয়ুমসহ দুইজনকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।