বান্দরবানের তিন উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত নির্বাচন
২৯ দিন আগে শনিবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২৫
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এক সভায় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশন,
জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার
শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে ।
বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী নির্বাচন ভবনে সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে অনুষ্ঠিত
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বান্দরবানের উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য এ তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অপারেশন
চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরবর্তীতে
সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনাসহ সভায় গৃহীত উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো তিনি বলেন,
এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার
নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট
হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।
আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে
২১ মে। এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয়
ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।
২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র
লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্র ও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ
করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে
ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও
দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে।
দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরপর থেকেই লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে
অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ
সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেফতারের
খবর জানিয়েছে পুলিশ।