বিরামপুরে তীব্রশীতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা
১১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
দিনাজপুরের বিরামপুরে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা।কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় বিরামপুরে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। পাশাপাশি শহরের কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলোও দু’সপ্তাহ ধরে জমজমাট।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিরামপুর শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, এ উপজেলায় ১১০ টি মার্কেটের প্রায় ৫০ শতাংশ দোকানে শীতের কাপড় তোলা হয়েছে। সে হিসাবে পাইকারি ও খুচরা দোকান যদি দৈনিক ১০ হাজার টাকার বিক্রিও করে,মাসে এ পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় কোটি টাকার বেশি। এছাড়াও বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান প্রভৃতি থেকে নিয়ে আসা হয় পুরাতন কাপড়ের গাঁট। মূলত নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আয়ের মানুষদের টার্গেট করে এসব কাপড় আনা হয়।
হাটবাজারে সস্তা দামে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। প্রতিবছর শীতের আগমনকে ঘিরে বিরামপুর হাটে মৌসুমি হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বাড়তি রোজগারের আশায় এসব হকার ফুটপাতের পাশাপাশি বিরামপুর উপজেলার অলিগলিতেও ফেরি করে। কয়েক বছর প্রত্যাশিত শীত না পড়ায় তেমন বেচাকেনা হয়নি। অনেকে শীতের কাপড় কিনে মজুত করলেও তা বিক্রি করতে পারেননি। এবছরও শুরুতে শীতের দেখা মেলেনি। তখন পসরা সাজিয়ে বসলেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিন শীত বাড়ায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। ফুটপাতে দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন লোকজন। শীত যত বাড়বে হাটবাজারসহ ফুটপাতের বাজার তত বেশি গরম হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকে ফুটপাতে ছোটদের বিভিন্ন সাইজের গরম কাপড়, বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ বিভিন্ন আইটেমের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। হকাররা অনেকে ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০-২০০ টাকা হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিরামপুর পশুহাটের মোড়ে সোয়েটার ও জ্যাকেটের দাম মানভেদে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ছোটদের সোয়েটার ৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিরামপুর পশুহাটের মোড়ে পুরাতন কাপড় দড়িতে এবং ছোট চৌকির উপর সেজে রেখে বিক্রি করা এক ব্যাবসায়ীকে এবার শীতে কেমন বেচাকেনা হচ্ছে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে,সে জানায় তার নাম লালু সে সৈয়দপুর থেকে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে এই বিরামপুর হাটে তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান প্রভৃতি থেকে নিয়ে আসা পুরাতন কাপড়ের গাঁট থেকে বাছাই করে ভালো কাপড়গুলো বিক্রি করে আসছেন। তিনি জানান বিরামপুর পশুহাটে কাপড়ের দাম ভালো পাওয়া যায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়ায় সবমিলিয়ে ভালো আয় হয়ে থাকে।