সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে : ৭ জনের দাফন সম্পন্ন
১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে নিহত ৭ জনের দাফন
সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়ন ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত তিনটার দিকে মরদেহ বাড়িতে
পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শনিবার রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে পৌঁছায় দুর্ঘটনায় নিহত
৭ জনের মরদেহ। এ সময় জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। পরে রোববার সকালে ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা
পাড়া, ওমেদপুর ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর গ্রামে জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শিবচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন কার্য সম্পন্ন করতে ১০
হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের
গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে
তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারায় তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিয়া
ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবী, দুই ভাগ্নেসহ
একই পরিবারের ৭ জনকে।
নিহতরা হলেন - শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের আবুল কালাম আজাদ-এর স্ত্রী শাহানাজ
আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল
আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের
স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে
একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে
কনেপক্ষ আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে
যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচরের।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে গিয়ে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। শোকবহ পরিবারের পাশে থাকবে
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিকেও বলা হয়েছে।