এজেন্টেই বিমার সর্বনাশ
২২ দিন আগে সোমবার, নভেম্বর ৪, ২০২৪
পীরগঞ্জের আনিসুল ইসলামের আট বছরের বিমার প্রিমিয়ামের টাকা নিয়ে লাপাত্তা এজেন্ট মহসিন হোসেন আকন্দ। তার মতো একইরকম ভুক্তভোগী বরিশালের সাদেকুজ্জামান। তার ৬ বছরের টাকা নিয়ে উধাও এজেন্ট খুরশিদ আলম। ঠিক এমনি আরেক ভুক্তভোগী খুলনার রেহানা আক্তার। তার ৭ বছরের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এজেন্ট রিপন মিয়া। এরা সবাই কোম্পানির নামে ভুয়া রশিদে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আনিসুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবার অবসরের টাকা দিয়ে জীবন বিমা কোম্পানিতে একটি বিমা করা হয়। বিমা কোম্পানির এজেন্ট ছিলেন খুবই চতুর লোক। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আমাদের বাড়িতে এসে প্রিমিয়ামের ৪ হাজার টাকা নিয়ে যেতেন। আর মাছ-মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে যেতেন। এভাবে নয় বছর তিনি প্রিমিয়ামের ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরপর হঠাৎ উধাও, আর আসেন না। পরে জীবন বিমা কোম্পানির শাখায় খোঁজ নিয়ে দেখি এজেন্ট মাত্র ১ বছরের প্রিমিয়ামের ১৬ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। বাকি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা মেরে দিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি বলেছিল নোয়াখালী কিন্তু সেই ঠিকানায় এমন কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
একই রকম অভিযোগ করেছেন বরিশালের গ্রাহক সাদেকুজ্জামান ও খুলনার রেহানা আক্তার। তারা এজেন্টের খোঁজ পেয়েছেন কিন্তু ততদিনে এজেন্ট টাকা নিয়ে বিদেশ চলে যান। তাদের বিমাও তামাদি হয়ে গেছে।
আনিসুল, সাদেক এবং রেহানার মতো হাজার হাজার গ্রাহকের টাকা কোম্পানিতে না জমা দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন এজেন্টরা। আবার যে এজেন্টরা জমা দিচ্ছেন তারাও সময় মতো দিচ্ছেন না। নিয়ম ভঙ্গ করে প্রিমিয়ামের ওপর থেকে কমিশনের টাকা নিয়ে তারপর জমা দিচ্ছেন।