পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও হারল বাংলাদেশ
১০ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
পুরো সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল একবারে চোখে পড়ার মতো। হাতেগোনা কয়েকটা ইনিংস ছাড়া ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো খেলতে পারেননি বাংলাদেশের যুবারা। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও চোখে পড়েছে ব্যাটারদের দৈন্যদশা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮০ রানে হেরে পাকিস্তানের কাছে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশের যুবারা।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজ্জাদ আলীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ রান করা আশিকুর রহমান শিবলি। আরেক ওপেনার মইনুল ইসলাম তন্ময় আউট হয়েছেন পরের ওভারেই।
রানের খাতা খোলার আগেই আলী আসফান্দের বলে লেগ বিফোর হন তন্ময়। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে বিপদজনক হয়ে উঠার আগেই জিসান আলমকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সাজ্জাদ। ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন দুই চার ও এক ছক্কায় ৬ বলে ১৪ রান করা জিসান।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরিফুল ইসলামকে বিদায় করেছেন আরাফাত মানহাজ। স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন ২৪ বলে ৯ রান করা আরিফুল। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে টাইগারদের টেনে তোলেন আহরার আমিন পিয়ান ও শিহাব জেমস।
বিপদ সামলানোর পাশাপাশি দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন আহরার আমিন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আরাফাতের বলে টপ এজ হয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫৩ রান করা এই ব্যাটার। এদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া শিহাব হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৬৮ বলে।
এরপর দ্রুতই জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, মাহফুজুর রাব্বি, শিহাব, একান্ত শেখ, ওয়াসি সিদ্দিকীকে হারায় বাংলাদেশ। ফলে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই ১৬৪ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের যুবাদের হয়ে আলী আসফান্দ ও আরাফাত তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তোলে পাকিস্তান। সফরকারীদের হয়ে হামজা নওয়াজ ৭২, শাহজাইব খান ৬৭, আজান আওয়াইজ ৪১ এবং আরাফাত ৪০ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মাহফুজুর রাব্বি।