দুর্নীতি -মাদকে জড়িত পুলিশ সদস্যকে ছাড় নয়: আইজিপি
২৬ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘থানায় আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ আইনি সহায়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তদারকি আরও বাড়াতে হবে। মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।’
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। সভায় সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারগণ যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘থানায় আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ আইনি সহায়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তদারকি আরও বাড়াতে হবে। মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে।’
জিরো টলারেন্স নীতিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে পুলিশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘অপরাধ দমনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।’
এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় উত্থাপিত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য ডিসেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় মোট রুজুকৃত মামলা, ডাকাতি মামলা, খুন মামলা, ধর্ষণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কমে এসেছে।